সাইবার সিকিউরিটিঃ কি, কেন এবং কিভাবে এই ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গঠন করবেন তার A to Z গাইডলাইন!

সাইবার সিকিউরিটিঃ কি, কেন এবং কিভাবে এখানে ক্যারিয়ার গঠন করা যায়?

বর্তমান ডিজিটাল যুগে সাইবার সিকিউরিটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং চাহিদাসম্পন্ন ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি দিক এখন অনলাইনের সঙ্গে যুক্ত।যেমনঃ ব্যাংকিংস্বাস্থ্যসেবাব্যবসাশিক্ষা এমনকি ব্যক্তিগত যোগাযোগও এর আওতাভুক্ত। ফলে অনলাইন নিরাপত্তা বা সাইবার সিকিউরিটির গুরুত্ব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই পোস্টে আমরা যা যা জানতে পারব!

  • সাইবার সিকিউরিটি কি?
  • সাইবার সিকিউরিটির ব্যবহার এবং প্রাসঙ্গিকতা।
  • সাইবার সিকিউরিটির বিভিন্ন শাখা।
  • কিভাবে এই ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়া যায়?

 সাইবার সিকিউরিটি কি?

সাইবার সিকিউরিটি (Cybersecurity) হল ডিজিটাল তথ্য এবং সিস্টেমকে অননুমোদিত প্রবেশআক্রমণ (hack), চুরিক্ষতিসাধন বা ধ্বংস থেকে রক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া।

সহজভাবে বললে বলা যায়, যেভাবে আপনি বাসার দরজা-জানালায় তালা দিয়ে রাখেন নিরাপত্তার জন্যঠিক তেমনি একটি ওয়েবসাইটনেটওয়ার্কমোবাইল অ্যাপ বা ক্লাউড সিস্টেমকেও সুরক্ষিত রাখতে হয় ডিজিটালি।

 সাইবার সিকিউরিটির কাজ কি?

সাইবার সিকিউরিটির মাধ্যমে করা যায়ঃ

  • ডাটা প্রটেকশনঃ ব্যক্তিগত  প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্য প্রটেকশন দিয়ে রাখা যায়।
  • নেটওয়ার্ক সিকিউরিটিঃ ইন্টারনাল নেটওয়ার্কে হ্যাকারদের প্রবেশ রোধ করা যায়।
  • ম্যালওয়্যার/ভাইরাস প্রতিরোধঃ সফটওয়্যার  হার্ডওয়্যারকে ক্ষতিকর কোড থেকে রক্ষা করা যায়।
  • ইনসিডেন্ট রেসপন্সঃ কোনো আক্রমণ হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সিস্টেমকে প্রটেক্ট করা যায়।
  • রিস্ক অ্যাসেসমেন্টঃ নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণ  সমাধানের পরিকল্পনা করা যায় যাতে কোথায় কি ধরনের সমস্যা বা ভলনারেবিলিটি আছে সেগুলো ডিটেক্ট করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়।

সাইবার সিকিউরিটির প্রধান শাখাগুলোঃ

  • Network Security
  • Information Security
  • Application Security
  • Cloud Security
  • Penetration Testing / Ethical Hacking
  • Digital Forensics
  • Security Compliance & Governance
  • Incident Response & Threat Intelligence

 কিভাবে সাইবার সিকিউরিটিতে ক্যারিয়ার শুরু করবেন?

Step 1: বেসিক কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্কিং জ্ঞান অর্জন করুন

  • Learn: Operating System (Linux/Windows), Networking Basics (TCP/IP, DNS, Firewalls)
  • Resources: CompTIA IT Fundamentals, Cisco CCNA (নেটওয়ার্কিং বেসের জন্য)

Step 2: প্রাথমিক সাইবার সিকিউরিটি কোর্স করুন

  • Entry-level Certifications:

    • CompTIA Security+
    • EC-Council CEH (Certified Ethical Hacker)
    • Google Cybersecurity Certificate
    • IBM Cybersecurity Analyst (Coursera)

Step 3: হ্যান্ডস-অন প্র্যাকটিস বা হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহন করুন

§  Labs/Platforms:

v  TryHackMe

v  Hack The Box

v  OverTheWire

v  CyberDefenders

Step 4: একটি স্পেসিফিক ফিল্ড বেছে নিনঃ

আপনি Penetration Tester হতে পারেনঅথবা Incident Responder, SOC Analyst, Security Engineer ইত্যাদি বিষয়ে আপনি নিজের আগ্রহ অনুযায়ী ফোকাস করুন।

Step 5: অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেশন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করুনঃ

Advanced Certifications:

v  OSCP (Offensive Security Certified Professional)

v  CISSP (Certified Information Systems Security Professional)

v  CISM, CISA (Governance  Audit track)

Step 6: কমিউনিটিতে যুক্ত হোন এবং আপডেটেড থাকুনঃ

Ø  নিয়মিত সাইবার সিকিউরিটি ব্লগ পড়ুন (ex: KrebsOnSecurity, The Hacker News, https://www.raisaiot.com/)

Ø  ফোরামে অ্যাকটিভ থাকুন (Reddit r/cybersecurity, StackExchange)

Ø  CTF (Capture The Flag) ইভেন্টে অংশগ্রহণ করুন

 

বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে চাকরির বাজারঃ

সাইবার সিকিউরিটি পেশায় চাহিদা এখন আকাশচুম্বীঃ

পদবি

গড় বেতন (প্রতি মাসে)

SOC Analyst

BDT 40,000 – 80,000+

Ethical Hacker

BDT 60,000 – 150,000+

Security Engineer

BDT 80,000 – 250,000+

আন্তর্জাতিক বাজারে

$60,000 – $150,000+ প্রতি বছর

শেষ কথাঃ

সাইবার সিকিউরিটি শুধু একটি পেশা নয়বরং এটি একটি দায়িত্ব – ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখার জন্য। আপনি যদি প্রযুক্তি ভালোবাসেন এবং সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হনতবে এটি আপনার জন্য পারফেক্ট ফিল্ড হতে পারে।

আপনার স্কিলকমিউনিটি অংশগ্রহণ  নলেজ বাড়াতে পারলে এই পেশা আপনাকে উচ্চ বেতনআন্তর্জাতিক সুযোগ এবং দারুণ স্যাটিসফ্যাকশন এনে দিতে পারে।

আপনার মতামত বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আপনার সাইবার সিকিউরিটি যাত্রা শুরু হোক আজ থেকেই!

Previous Post Next Post